আমি একটা মেয়ে হয়ে ছেলেদের
সাইড নিয়ে কথা বলছি,
তাতে অনেক মেয়ে
ভাবতেপারে, আলগা পিরিত।
কিন্তু অতি বাস্তব
একটি ছেলে আমার ভাই,
একজন পুরুষ আমার বাবা, আর একজন
পুরুষ যে হবে আমার ভবিষ্যৎ।
তাই কথা গুলা সব মেয়ের পড়া উচিত।
রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছি।
পিছন থেকে একটা ছেলে কিছু বললে
অথবা শিস বাজালেই এটি ইভটিজিং
এবং ওরা মানুষ রূপী অমানুষ!
ওদের কি ঘরে মা বোন নেই?
এই কথা কেন আসলো?
কারণ আমি মেয়ে।
মেয়ে হচ্ছে মা জাতি।
তাদের সম্মান দিতে হয়।
আচ্ছা যখন মাথায় তেল দিয়ে নম্র ভদ্র
শান্ত ছেলেটি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশ
দিয়ে হেঁটে যায় চুপচাপ,
তখন হুঁ হুঁ করে হেসে উঠা মায়ের
জাতিরা কেমন করে
বিব্রত করে?
আমাদের কি ঘরে বাপ ভাই নেই?
ছেলেটি কি বাপের জাত না?
বাপকে কি সম্মান করা যায় না?
আচ্ছা প্রেম করছি দু'জনেই।
প্রেমিক সাহেবও তো বেকার,
ছাত্র মানুষ।
তাহলে কেন আমি তাকে মিসকল দিব?
ও যদি একটা সিগারেট কম খেয়ে
১০টাকা লোড করতে পারে,
আমি কেন ওর জন্য একটি হেয়ার
ব্যান্ড না কিনে কল করার পয়সা
জমাতে পারি না?
বন্ধুরা মিলে রেস্তোরাঁ আড্ডা দিচ্ছি।
আড্ডার ফাঁকে মুখরোচক খাবার ও
খেলাম কয়েক পদের।
আচ্ছা ছেলে বন্ধুটিই কেন মানিব্যাগ
বের করে বিল দিবে?
আমার পার্সে থেকে কেন টাকাটা
বের হয় না?
ও তো আমাকে টেডিবিয়ার, চকোলেট
কত্তকিছু উপহার দেয়।
কই আমি তো একটি গোলাপ ও কেনার
কথা মনে করিনা।
গাড়িভাড়া গুলোও ঐ ছেলেটিই দিচ্ছে,
বাসের সিট ছেড়ে দিচ্ছে,
লাইনে দাঁড়ালে আগে যেতে দিচ্ছে
(লেডিস ফার্স্ট)
বিপদে পরলে দৌড়ে আসছে,
আনন্দে হাসছে,
বেদনায় সান্ত্বনা দিচ্ছে,
আশা দিচ্ছে,
ভরসা দিচ্ছে,
রাগ করে গালিও দিচ্ছে,
আবার অতি কষ্টের ভাগীদার হয়ে
গোপনে কাঁদছে।
কখনো ভেবেছি সম্মানিত মা জাতি হিসেবে,
কেমন লাগে ঐ তেল মাথায়
কেবলাকান্ত ছেলেটির
যখন বুঝতে পারে একদল মেয়ের ব্যঙ্গ
করছে তাকে নিয়েই?
প্রেমিক ছেলেটি কয়েক মিনিট কথা
বলতে প্রতিদিন রিচার্জ করছে।
কত ধান্ধা করে টাকা যোগাড় করছে।
কিন্তু ভেবেছি কি কখনো?
আমারও কল করা উচিত,
ও কেন ফোনটা কেটে দিয়ে কল ব্যাক
করে সবসময়?
কখনো অনুভব করেছি কি?
কেমন লাগে ঐ মুহূর্তে একটি ছেলের
যখন তার পকেট পুরো ফাঁকা।
অথবা শেষ ১০০টাকা বিল দিলে
আগামী সাতদিন তাকে হেঁটে টিউশন
করতে যেতে হবে?
তবুও বিল টা সেই দেয়।
কারণ সে বাপের জাত।
কই কখনো ভাবি নি তো,
একটি গোলাপ তার হাতে দিলে
আবেগে সে কতটা
আত্মহারা হতে পারে।
তার বিপদে কখনো হাতটা চেপে ধরে
দেখছি কী,
একটু হলেও তো আস্থা পেত ছেলেটি।
হতাশ ছেলেটিকে সাহস দিয়ে বলেছি কি,
"আর বিড়ি খেওনা, ভাল দিন আসবেই।"
তারা তো কাঁদতে জানে না।
বালিশ না ভিজলেও
নিকোটিনের ধোঁয়া জানে কতটা
নির্ঘুম রাত কাটায় তারা।
তারাভাই,
তারা বাবা,
তারা প্রিয়তম,
তারা বন্ধু,
তারা হারামী।
তাদের কত্ত দায়িত্ব!
আমরা শুধু নিয়েই যাচ্ছি।
কেন বিনিময়ে দিতে পারছি না?
মায়ের জাতি হয়ে তিন গুণ বেশি
পাওনা আমার।
কিন্তু বাপের জাতিকে এক ভাগ ও
দেই না কেন?
ভাবি নি...
ভাবার সময় হবেও না হয়তো।
.........সংগৃহীত..........
0 comments:
Post a Comment