আদর্শ ছেলে | Adorsho chele - amader deshe hobe sei chele kobe | Nhrepon.com




আদর্শ ছেলে 

কুসুমকুমারী দাশ

আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
'মানুষ হইতে হবে'- এই তার পণ।

বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান
নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?
হাত পা সবারই আছে, মিছে কেন ভয়?
চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?

সে ছেলে কে চাই বল, কথায় কথায়
আসে যার চোখে জল, মাথা ঘুরে যায়?
মনে প্রাণে খাট সবে, শক্তি কর দান,
তোমরা 'মানুষ' হলে দেশের কল্যাণ।










নবীর শিক্ষা | nobir shikkha | bangla kobita | nhrepon.com

নবীর শিক্ষা

শেখ হাবিবুর রহমান


তিন দিন হ'তে খাইতে না পাইনাই কিছু মোরে ঘরে,
সারা পরিবার বাড়িতে আমার উপোস করিয়া মরে।
নাহি পাই কাজ তাই ত্যাজি লাজ বেড়াই ভিক্ষা করি,
হে দয়াল নবীদাও কিছু মোরে নহিলে পরাণে মরি।


আরবের নবীকরুণার ছবি ভিখারির পানে চাহি,
কোমল কণ্ঠে কহিল, -'তোমার ঘরে কি কিছুই নাহি?
বলিল সে, 'আছে শুধু মোর কম্বল একখানি।'
কহিল রসুল, 'এক্ষণি গিয়া দাও তাহা মোরে আনি।'


সম্বল তার কম্বলখানি বেচিয়া তাহার করে,
অর্ধেক দাম দিলেন রসুল খাদ্য কেনার তরে,
বাকি টাকা দিয়া কিনিয়া কুঠারহাতল লাগায়ে নিজে,
কহিলেন, 'যাও কাঠ কেটে খাওদেখ খোদা করে কি-যে।'


সেদিন হইতে শ্রম সাধনায় ঢালিল ভিখারি প্রাণ,
বনের কাষ্ঠ বাজারে বেচিয়া দিন করে গুজরান।
অভাব তাহার রহিল না আরহইল সে সুখী ভবে,


নবীর শিক্ষা ক'রো না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।



যে প্রেম বিশ্ব জয় করতে জানে | nhrepon.com

যে প্রেম বিশ্ব জয় করতে জানে


মিশরের "লিমান তুররা" কারা হাসপাতালের চৌদ্দ শিকের দুইপাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে হয়েছিলো দুজনের। বর একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী। অপরাধ অন্য কিছু নয়, মিশরের ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া। ১৯৫৪ সালে যাঁকে গ্রেফতার করে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে কিছুদিন পর ফাঁসি বাতিল করে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। কনে খুব ভালো করেই জানতেন এখানে যাবজ্জীবন মানে ২৫ বছরের আগে মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। কারান্তরীণ ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর অনেক ভেবে তিনি এই কঠিন সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হন।

বিয়ের কয়েকদিন পরের ঘটনা। সদ্য বিবাহিত এই যুবককে অমানবিক নির্যাতন করে "ক্বানা" নামক অন্য একটি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হলো। এই "ক্বানা" কারাগারটি ছিলো রাজধানী কায়রো থেকে অনেক দূরের একটা জায়গা। যুবকের নবপরিণীতা বধু ননদকে সঙ্গে করে সেই কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। পথিমধ্যে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হলো দুজনকে। যুবকের বোন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা শেষ করে ভাবিকে একান্তে কথা বলার সুযোগ করে দিলেন। যুবক তাঁর বধু ও বোনের পথিমধ্যে ভোগান্তির কথা জেনেছিলেন। তিনি অত্যন্ত আবেগ তাড়িত কণ্ঠে স্ত্রীকে বললেন, "দেখো, আমি আশাবাদী ছিলাম খুব অল্প দিনের মধ্যে হয়তো বের হতে পারবো। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ দেখতে পাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট জামাল নাসের আমাদেরকে অফার করেছে, তাকে সাহায্য করলে সে আমাদের সসম্মানে মুক্তি দিয়ে দিবে। কিন্তু আমি বলে দিয়েছি, আমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেললেও আমি তার অন্যায় প্রস্তাবে রাজি হবো না। প্রিয়তমা, আমি তোমাকে একটা অনুরোধ করি। আমার কারাগার থেকে মুক্তি পেতে হয়তো আরও অন্তত দুই দশক লেগে যাবে। তোমার এতো কষ্ট আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার জন্য তোমার সুন্দর জীবনটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বরং তুমি এমন কাউকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করো যে তোমার পাশে সবসময় থাকতে পারবে। তোমার জীবনটাকে সুখে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারবে।"

স্ত্রী স্বামীর কথা শুনলেন। কিন্তু তিনি কিছু বলার আগেই কারারক্ষীরা কারার লৌহকপাট বন্ধ করে দিলো। তিনি বাড়ি ফিরে গিয়ে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে একটি কবিতা লিখলেন। যার কিয়দংশ ছিলো এরকম,
"নিরন্তর পথ চেয়ে বসে আছি,
শুধু তোমার জন্য।
নাহয় সে পথ হোক জিহাদের।
লাল পথ ধরে পায়ে পায়ে
যাই চলো জান্নাতের দ্বারে।
সেই ওয়াদার খাতিরে,
ভয় কি?
লজ্জা কি?
কিসের বা বেদনা আমার?"

অবশেষে প্রায় ২০ বছর পর ১৯৭৩ সালে সেই যুবক মুক্তি পেলেন। ততদিনে বার্ধক্য এসে ভীড় করেছে। বিয়ের ২০ বছর পর প্রথমবারের মতো মুক্ত পৃথিবীতে প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলো। আল্লাহর দ্বীনকে ভালোবেসে জীবনের সবচেয়ে স্বর্ণ সময়গুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন থেকে যে দম্পতি ঈমানের এক অনন্যসাধারণ নজীর স্থাপন করলেন, মহাকালও হয়তো সেটা টুকে রাখলো। নীলনদের তীরে হয়তো বিশাল কোনো ঢেউ আঁচড়ে পড়ে সম্মান জানাতে চাইলো এ মজলুম দম্পতিকে। কায়রো শহরের পাখিগুলো হয়তো একবার কিচির মিচির ধ্বনি তুলে প্রকাশ করতে চাইলো তাদের আনন্দের কল্লোলিত বার্তা।

১৯৮১ সালের এক সন্ধ্যা। রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয়তম এই বান্দা-বান্দীকে আরেকটু পরীক্ষা করে ঈমানের চুড়ান্ত মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ করে নিতে চাইলেন বোধহয়। মিশরের ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম এ সিপাহসালারকে পুনরায় গ্রেফতার করা হলো। সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শাহাদাৎ বরণ করানো হলো। শহীদের সম্মানিতা স্ত্রী এবার চিরদিনের মতো নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন। ১৯৮১ সালের ৬ নভেম্বর ভোরবেলা যে চুড়ান্ত নিঃসঙ্গ জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার পরিসমাপ্তি ঘটলো। পরিসমাপ্তি ঘটলো একটি অনবদ্য অধ্যায়ের। এই মহীয়সী নারীর নাম আমিনা কুতুব। মিশরের ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষনেতা সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ (রহঃ) এর ছোটবোন। তাঁর স্বামী ইখওয়ানের অন্যতম নেতা শহীদ কামাল আল সানানিরী। আল্লাহকে যাঁরা সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসতে পেরেছে, তাদের গল্পগুলো তো এমনই হবে। জাগতিক সব চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেষ আর ঠুনকো স্বার্থবাদী চিন্তাধারা তাদের পদতলে এসে লুটিয়ে পড়ে আর্তনাদ করে ফিরবে বারবার। আর আল্লাহর পথের সেনানীরা তার উপরে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করে যাবেন, "সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। আর মিথ্যা তো অপসৃত হবার জন্যই।" [সূরা বনী ইসরাইল-৮১]

"যে জীবন সাহসের আগ্নেয়গিরি"/ মু. লাবিব আহসান







collected from internet

পল্লি কবি জসীম উদ্দীন | Nhrepon.com

পল্লি কবি জসীম উদ্দীন

একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক।


Polli-kobi-josim-uddin



জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রী:

মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬ খ্রী:

পূর্ণনাম: মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্লা।

জন্মস্থান: ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

বাবার নাম: আনসার উদ্দীন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।

মায়ের নাম: আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।

পারিবারিক পরিচিতি: তার বাবার বাড়ি ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।

শিক্ষা জীবন: জসীম উদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফার স্কুল ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুলে পড়াশুনা করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বি.এ এবং ১৯৩১ সালে এম.এ শেষ করেন।

উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট।

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার


কাব্যগ্রন্থ:
রাখালী (১৯২৭
নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯)
বালুচর (১৯৩০)
ধানখেত (১৯৩৩)
সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪)
হাসু (১৯৩৮)
রুপবতি (১৯৪৬)
মাটির কান্না (১৯৫১)
এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬)
সকিনা (১৯৫৯)
সুচয়নী (১৯৬১)
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২)
মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩)
হলুদ বরণী (১৯৬৬)
জলে লেখন (১৯৬৯)
পদ্মা নদীর দেশে (১৯৬৯)
কাফনের মিছিল (১৯৭৮)
মহরম
দুমুখো চাঁদ পাহাড়ি (১৯৮৭)


নাটক:
পদ্মাপার (১৯৫০)
বেদের মেয়ে (১৯৫১)
মধুমালা (১৯৫১)
পল্লীবধূ (১৯৫৬)
গ্রামের মেয়ে (১৯৫৯)
ওগো পুস্পধনু (১৯৬৮)
আসমান সিংহ (১৯৮৬)


আত্মকথা:
যাদের দেখেছি ((১৯৫১)
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায় (১৯৬১)
জীবন কথা ( ১৯৬৪)
স্মৃতিপট (১৯৬৪)
স্মরণের সরণী বাহি (১৯৭৮)


উপন্যাস:
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
ভ্রমণ কাহিনী:
চলে মুসাফির (১৯৫২)
হলদে পরির দেশে ( ১৯৬৭)
যে দেশে মানুষ বড় (১৯৬৮)
জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫)


সঙ্গীত:
রঙিলা নায়ের মাঝি (১৯৩৫)
গাঙের পাড় (১৯৬৪)
জারি গান (১৯৬৮)
মুর্শিদী গান (১৯৭৭)








collected form wikipedia

SEO | Search Engine Optimization | Nhrepon.com

What is SEO?

In short: SEO mean Search Engine Optimization.


Search-Engine-Optimizaton


In details: The process of maximizing the number of visitors to a particular website by ensuring that the site appears high on the list of results returned by a search engine.



"the key to getting more traffic lies in integrating content with search engine optimization and social media marketing"



Search Engine Optimization (SEO) is the process of increasing the quality and quantity of website traffic, increasing visibility of a website or a web page to users of a web search engine.

SEO may target different kinds of search, including image search, video search, academic search, news search and industry-specific vertical search engines.

Optimizing a website may invole editing its content, adding content, modifying HTML, and associated coding to both increase its relevance to specific keywords and to remove barriers to the indexing activities of search engines. Promoting a site to increase the number of backlinks or inbound links is another SEO tactic.

On page SEO: 

On page seo is to be Proper coding for a site, Ensure content quality, Optimize title tag, Image and img tag, H tag, Meta tag, Robots.txt setting, Submit on search engine for indexing, Overall eye catching and user friendly content optimization.

Off page SEO: