নিশিতে যাইও ফুলবনে রে ভোমরা | nishite jaio fulo bone | Nhrepon.com

নিশিতে যাইও ফুলবনে

- জসীমউদ্দীন
বাংলা কবিতা
নিশিতে যাইও ফুলবনে - জসীম উদ্দিন


নিশিতে যাইও ফুলবনে
রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।
জ্বালায়ে চান্দের বাতি
আমি জেগে রব সারা রাতি গো;
কব কথা শিশিরের সনে
রে ভোমরা!
নিশিতে যাইও ফুলবনে।



যদিবা ঘুমায়ে পড়ি-
স্বপনের পথ ধরি গো,
যেও তুমি নীরব চরণে
রে ভোমরা!
আমার ডাল যেন ভাঙে না,
আমার ফুল যেন ভাঙে না,
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না।
যেও তুমি নীরব চরণে
রে ভোমরা!
নিশিতে যাইও ফুলবনে।




কাব্যগ্রন্থ: রঙিলা নায়ের মাঝি







collected from : bangla-kobita.com

শিক্ষকের মর্যাদা - কাজী কাদের নেওয়াজ | Bangla kobita | Nhrepon.com

শিক্ষকের মর্যাদা

 কাজী কাদের নেওয়াজ




শিক্ষকের মর্যাদা
শিক্ষকের মর্যাদা



 বাদশাহ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।

শিক্ষক মৌলভী

ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!
ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।

হঠাৎ কি ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি না'ক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,
ভয় করি না'ক, ধারি না'ক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।
যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।

তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
খাস কামরাতে যবে
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ''শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?

বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা''
শিক্ষক কন-''জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?''

বাদশাহ্ কহেন, ''সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।

নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না'ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।''


উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
''আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।''













আসমানী - জসীমউদ্দীন | Bangla kobita | Nhrepon.com

আসমানী

জসীম উদ্দীন

asmani-bangla-kobita
Bangla kobita asmani


জসীম উদ্দীন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক।

জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রী:
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬ খ্রী:
পূর্ণনাম: মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্লা।
জন্মস্থান: ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
বাবার নাম: আনসার উদ্দীন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।
মায়ের নাম: আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
পারিবারিক পরিচিতি: তার বাবার বাড়ি ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।



asmani-bangla-kobita

পল্লীকবি জসীমউদ্দীন 'আসমানী' কবিতাটি ১৯৪৬ সালে রচনা করেন। কবিতাটি ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত কবির 'এক পয়সার বাঁশী' কাব্য গ্রন্থে স্থান পায়।






আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।

একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।

মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।

ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।

আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।

পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।





আবৃত্তি দেখতে ভিডিওতে ক্লিক করুন।

আবৃত্তি করেছেন: তাহিরা তাবাস্সুম

সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলা কবিতা.কম  এবং আলকামা.কম থেকে।

সার্চ করে আয় করুন | Nhrepon.com

সার্চ করে আয় করুন.


প্রতিদিন আমরা কত কিছুই তো গুগল এ সার্চ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি সার্চ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আপনি আয় করতে পারেন।চলুন শুরু করা যাক >>>>>
১। প্রথমে আপনাকে presearch.org তে ঢুকে একটা একাউন্ট করতে হবে।
২। তার পর তাদের সার্চ বার থেকে আপনি গুগল, বিং সহ অন্যান্য জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
৩। প্রতিটি ইউনিক সার্চের জন্য আপনি ০.২৫ প্রি করে পাবেন।
৪। ১০০ প্রি সমান ৩ ডলার সামথিং ধরা হয়।
আপনাকে প্রতি বার সার্চ করার সময় presearch.org এর সার্চ বার ব্যবহার করতে হবে।
যারা সহজেই অনলাইন থেকে আয় করার কথা ভাবছেন তারা এই সুযোগ টি কাজে লাগাতে পারেন।






Nhrepon
Nhrepon