মজার জোকস | Nhrepon.com

বল্টু রোজ রাতে বিছানায় প্রশাব করে দেয়,,

:

বল্টুর স্ত্রী রোজ বিছানা পরিষ্কার করতে করতে হাঁপিয়ে

গেছে ।

একদিন বল্টুর স্ত্রী বলল , এত বড় হয়ে গেছ আর এখনও বিছানায়
মুতো তোমার লজ্জা করে না ?
:
বল্টু বলল ঘুমের় মধ্যে শয়তানে বলে , মুত সোনার বাটি দিব
তখন মুতে দিই কিন্তু বেটা শয়তান সোনার বাটি না দিয়ে
চলে যায় আর ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানায় মুতে দিয়েছি ।
:
এটা শুনে বল্টুর স্ত্রী বলল আজ যখন শয়তান সোনার বাটি
দেওয়ার কথা বলবে তখন বলবে আগে সোনার বাটি দে তারপর
মুতবো ।
:
এটা শুনে বল্টু ঘুমিয়ে গেল । ঘুমের মধ্যে আবার শয়তান হাজির
শয়তান বলল মুত সোনার বাটি দিব । এবার বল্টু বলল আগে
সোনার বাটি দে তারপর মুতবো,,
:
এই কথা শুনে শয়তান চিন্তায় পড়ে গেল । বলল দেখ সোনার
বাটি আমার কাছে নাই তো চল রাজার বাড়ি যায় চুরি করতে
:
বল্টুও রাজি হয়ে গেল । দুইজন গেল রাজার বাড়ি চুরি করতে ।
:
শয়তান সোনার বাটি চুরি করে চলে আসার সময় রাজা
দুইজনকে দেখে ফেলে ।
:
শয়তান আর বল্টু প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালায় ।
:
রাজাও তাদের পিছু পিছু দৌড়ায়
:
দৌড়াতে দৌড়াতে শয়তান ডাব গাছে উঠে পড়ে, পিছনে বল্টুও
গাছে উঠে যায় কিন্তু রাজা বল্টুর পা ধরে ফেলে
:
এখন উপায় না দেখে বল্টু শয়তানকে জিজ্ঞাসা করল রাজা
আমার পা ধরে নিয়েছে এখন কি করবো ।
:
শয়তান বলল রাজার মাথায় হাগু করে দে ।
:
বল্টু শয়তানের কথা মত রাজার মাথায় হাগু করে দেয় । তখনই
বল্টুর ঘুম ভেঙে যায় আর দেখে বিছানায় হাগু করে দিয়েছে
:
এ দেখে বউ বেহুশ











বিল গেটস এই ৭টি মহাগুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছে যা বদলে দেবে আপনাকে | Nhrepon.com


জীবনে সফল হওয়ার জন্য এই ৭টি মহাগুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছে বিলিনিয়র বিল গেটস। এটা বদলে দেবে আপনাকে।
১.ঝুঁকি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন
“ব্যবসা কয়েকটি নিয়ম ও প্রচুর ঝুঁকির সঙ্গে একটি টাকার খেলা” – বিল গেটস।
আপনি জুয়া খেলার সময় কখনই নিশ্চিত হতে পারেন না যে, সেটি জিতবেন নাকি হারবেন। অনুরূপভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলেও লাভ লোকশানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন না। বিল গেটস যখন মাইক্রোসফট শুরু করেন তখন তিনি টেনশনে থাকতেন এই নিয়ে যে, কর্মীদের মাসিক বেতন দিবেন কীভাবে! সুতরাং বুঝতেই পারছেন উনার ঝুঁকিটা কত বড়মাপের ছিল। পৃথিবীর সবকিছুই অনিশ্চিত, এখনে কিছু পেতে হলে কিছু না কিছু ত্যাগ করতে হবেই।আপনি যদি আপনার চলার পথে উৎসাহ এবং সাহস ধরে রাখতে পারেন তাহলে আপনি সফল হবেনই। কোন কিছুই আপনাকে আটকাতে পারবে না।
২.সাফল্যের জন্য কখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন না
“সাফল্যের একটি মূল উপাদান হল ধৈর্য্য” – বিল গেটস
আপনি কোন কিছুই সহজে পাবেন না, এর জন্য ধৈর্য্য সহকারে চেষ্টা ও সংগ্রাম করে যেতে হবে। পল এলেন ও বিলগেটস মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরু করেছিলেন একটি নড়বড়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিন্তু তাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের দরুন বর্তমানে মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য ৫০০০০ কোটি ডলারেরও বেশি। একটি প্রবাদ আছে যে, There are no shortcuts to success. তাই পরিকল্পনা না করে তড়িৎগতিতে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। সুনির্দিষ্ট প্ল্যান নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়ুন আর তাড়াহুড়ো না করে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।
৩.আপনি যা তার জন্যই গর্বিত হোন
“পৃথিবীর কারো সাথেই নিজেকে তুলনা করবেন না, যদি তা করেন তাহলে আপনি নিজেই নিজেকেই অপমান করছেন” – বিল গেটস
আমাদের বেশিরভাগই হতাশায় ভোগি এই কারণে যে, আমরা অন্যদের মত সফল, সম্পদশালী ওবং বুদ্ধিমান না। আপনি চাইলেই বিল গেটস হতে পারবেন না কিন্তু আপনার এটা জানা উচিত যে, সব মানুষ এক রকম নয় , সবারই ইউনিক কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা অন্য কারো থাকে না। নিজের এই ইউনিক বৈশিষ্ট্যটি খুঁজে বের করুন এবং এর উপর আস্থা রাখুন সফল আপনি হবেনই। নিজের যত সক্ষমতা আছে তার সবকিছু ব্যবসাতে ঢেলে দিন। ব্যবসাতে প্রতিনিয়ত কলা-কৌশলে পরিবর্তন আনুন। ব্যবসা করতে গেলে আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বড় শক্তি, বিল গেটস এই আত্মবিশ্বাসের দ্বারাই হার্ভার্ড ছেড়ে দিয়ে মাইক্রোসফট গড়তে পেরেছিলেন।
৪.সবসময় নম্র থাকুন
“সাফল্য একজন উস্কানি দেওয়া শিক্ষকের মত, যা বুদ্ধিমান লোকদের মাথায় এটি ঢুকায় যে, তারা কখনো ব্যর্থ হবে না” -বিল গেটস
অনেকেই সফলতা পেয়ে নিজেকে আকাশ্চুম্বী মনে করা শুরু করে দেয়। যদি আপনিও তা মনে করেন তাহলে আমি বলব আপনি সফলতার তাৎপর্যই বুঝেন না। আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন, জীবন হল একটি চাকার মত অর্থাৎ আনপ্রেডিকটেবল। আজ আপনার অবস্থান অনেক উপরে, কাল তলানিতে থাকা অসম্ভব কিছু না। আপনি সফলতার যত উপরেই উঠুন না কেন কোনসময়ই ভুলবেন না আপনি কোথায় ছিলেন। আপনার কর্মীদের সাথে সবসময় ভাল আচরণ করুন এতে তারা আপনার কোম্পানিকে সর্বোচ্চ বেনিফিট দিতে উৎসাহিত হবে। আপনার কোম্পানীকে তারা নিজের মনে করবে।
৫.সবকিছু ইতিবাচকভাবে নিন এবং শিখতে ভালবাসুন
“ আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সর্বোত্তম উৎস” -বিল গেটস
ব্যবসার শুরুতে আমরা যদি সমলোচনা বা খারাপ প্রতিক্রিয়া পাই তাহলে আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু আপনি যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কাস্টমারদের সমলোচনাই আপনার শেখার সর্বোত্তম স্থান। বিজনেস স্ট্রেটেজিতে আপনার ভুল কিংবা অসম্পূর্ণতাগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে চিহ্নিত করা যায় কাস্টমারদের কাছ থেকে পাওয়া ফিডফ্যাক হতে। কাস্টমারদের কাছ হতে আসা সমলোচনা এবং খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলি ইতিবাচকভাবে নিন এবং এগুলোকে আপনার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করুন।
৬.ব্যর্থতাকে মেনে নিন এবং এগিয়ে যান
“সাফল্যকে উদযাপন করা ভাল ,তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাকে মনে রাখা” -বিল গেটস
আপনি যখন সফল হবেন তখন সবাই আপনাকে সম্মান করবে, গুরুত্ব দিবে, সাহায্য করতে চাইবে। আপনার জীবন আনন্দে ভরপুর থাকবে। কিন্তু যখন ব্যর্থতায় পতিত হবেন তখন দেখবেন কেউ আপনাকে চিনবেই না, চারিদিকে অন্ধকার দেখবেন। তখন আপনি বন্ধু, শুভাকাংখী কিংবা ব্যবসার কৌশল প্রভৃতির আসল রূপটা বুঝতে পারবেন। ব্যর্থতা আপনাকে যে শিক্ষা দিবে তা আর কোথাও হতে পাবেন না। আপনি জীবনে সফলতার যত উপরের অবস্থানেই যান না কেন ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলি ভুলবেন না, এই শিক্ষাগুলিই আপনার সফলতার প্রতিটা ধাপ গড়ে তুলতে সহয়তা করবে। আর জীবনে ভুল বা ব্যর্থতা আসবেই, বিল গেটসও প্রথমত Traf O data ব্যবসাতে সফলতার মুখ দেখেননি।
৭.যত দ্রুত সম্ভব নিজেই নিজের বস হোন
“যদি তুমি নিজের স্বপ্ন গড়তে না পার, তাহলে অন্য কেউ তার স্বপ্ন গড়তে তোমাকে ভাড়া করবে” – বিল গেটস
বিল গেটস অল্প বয়সেই তার কোম্পানির বস হয়েছিলেন, যা তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আপনি যেই ব্যবসাই শুরু করতে চান না কেন, দেরি না করে আজই নেমে পড়ুন। যত দেরি করবেন আপনার মনোবল ততই কমে যাবে।
সর্বশেষ কথা হল, উদোক্তাদের পথ সবসময়ই বাধা-প্রতিবন্ধকতায় পরিপূর্ণ হয় বিল গেটসও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। ব্যবসার শুরু্র আগে ব্যবসার বিষয়টি নিয়ে প্রচুর স্টাডি করুন। কী করলে আপনার ব্যবসা্র প্রসার বাড়বে, লক্ষ্যমাত্রার মুনাফা অর্জিত হবে তা খেয়াল করে ব্যবসায়ের সিদ্ধান্তগুলা একে একে নিতে হবে।
বিগত বছরের ভুলগুলির কারণ খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো যাতে আর না হয় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। আর হ্যাঁ পরিশ্রম, মূলত এর উপরই আপনার ব্যবসার বর্তমান-ভবিষত নির্ভর করবে। বিল গেটস বছরের মাত্র দুইদিন পূর্ণ বিশ্রাম নিতেন তাও আবার সারাদিন বই পড়ে কাটাতেন।

হাজারো পুরুষের আত্মকাহিনী | Nhrepon.com

ছেলেরা মাসে ৭০০০ টাকা বেতনে চাকরী করে!

বাবার জন্য ১০০০,!

মা'র জন্য ১০০০,!
বউয়ের জন্য ১০০০ টাকা!
ফেমিলি চালানোর ২০০০ বিকাশ
করেও!
দিব্যি ২০০০ টাকায় মাস চালিয়ে নিতে
জানে।
মাসে ৭০০০ টাকা মাইনের ছেলেটা বেতন পেয়ে!
বউয়ের কাছে ফোনে বলতে জানে " ওগো
তোমার জন্য কি
পাঠাবো? "
সামান্য বেতন পাওয়া যে ছেলেটা নিজের পুরনো
জুতো
বদলাবে বলে ঠিক করেছে , সেই ছেলেটাই
মার্কেটে
গিয়ে বউ আর বাবুর
জন্য জুতো কিনে নিজের ছেঁড়াজুতো সেলাই
করে
মাসের
পর মাস পড়তে
জানে।
উপোস পেটে কাজে গিয়েও মাকে বলতে
জানে
'আমি
মাছ দিয়ে
ভাত খেয়েছি তোমরা খেয়েছোতো',
১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে কাজে গিয়েও বাবাকে
বলে
'আমি অনেক ভাল আছি তোমরা ভাল আছোতো?
নিজের পকেট ফাঁকা জেনেও বউকে বলে ' একটু
ধৈর্য্য
ধরো সামনের মাসে তোমার জন্য একজোড়া বালা
কিনে
দিব',,,
ছেলেরা এমনই, অনেক অনেক কিছু জানে,,,
সকালবেলা লোকাল বাসে ঝোলে অফিসে
যেতে
জানে,
লেট হলে বসের ঝাড়ি খেতে জানে,
৫ টার অফিস রাত ৮ টা পর্যন্ত করতে জানে,
অফিস থেকে ফিরতে লেট হলে বউয়ের কাছে
জবাব
দিতে জানে,
রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি আসার
পথে
বাবুর জন্য মজা
কিনতেও জানে।
শুধু জানে না প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলতে।






স্ত্রীদের সাথে সদাচরণ এর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে? | Nhrepon.com

স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা দ্বারা দাম্পত্য জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে। এই ভালবাসা ও প্রেম-প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টি করা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব। তাই এ ব্যাপারে উভয়কে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ইসলাম স্বামীদেরকে আদেশ করেছে স্ত্রীদের ভোরণ-পোষণ সহকারে তাদের সাথে সদাচরণ করতে। আর স্ত্রীদের প্রতি আদেশ করেছে, স্বামীদের আনুগত্য করতে যদি তিনি অন্যায় ও গুনাহের নির্দেশ না দেন।
স্বামীর মধ্যে যদি আচরণগত বা দ্বীন বিষয়ে ত্রুটি পরিলক্ষীত হয় স্ত্রী যথাসম্ভব ধৈর্য ধারণ করবেন এবং তাকে সংশোধের চেষ্টা করবেন এবং তার জন্য দুয়া করবেন...।
*এ বিষয়ে আল্লাহ এবং রাসুল সা: এর নির্দেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ* (রিয়াদুস সালিহীন গ্রন্থ থেকে)
মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘আর তাদের (স্ত্রীদের) সাথে মিলেমিশে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করো।’ (সূরা আন-নিসাঃ ১৯)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ স্ত্রীদের মাঝে পুরোপুরি ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা তোমাদের সাধ্যাতীত। তোমরা মন-প্রাণ দিয়ে চাইলেও তা করতে পারবে না। কাজেই একজন স্ত্রীকে একদিকে ঝুলিয়ে রেখে অন্যজনের দিকে একেবারে ঝুঁকে পড়বে না। তোমরা যদি নিজেদের কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদন করো এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে আল্লাহ তো ক্ষমাশীল ও দয়াময়’। (সূরা আন নিসাঃ ১২৯)
২৭৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আমার কাছ থেকে মেয়েদের প্রতি সদাচারণ করার শিক্ষা গ্রহণ করো। কেননা, নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টাই সবচেয় বাঁকা। অতএব, তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তবে ভেঙ্গে যাওয়ার( বিচ্ছিন্ন বা তালাক) সম্ভাবনাই রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখো, তবে বাঁকা হতেই থাকবে। কাজেই মেয়েদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। (বুখারী ও মুসলিম)
২৭৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যাম‘আ (রা) বর্ণনা করেনঃ একদিন তিনি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুতবা দিতে শুনলেন। তিনি তাঁর খুতবায় মেয়েদের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি তাদের সম্পর্কে কিছু উপদেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাঁকে বাদী-দাসীর ন্যায় প্রহার করে। দিনের শেষে সে আবার তার সাথে শয়ন করে। (বুখারী ও মুসলিম)
২৭৫. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলমান পুরুষ যেন কোন মুসলমান নারীর প্রতি হিংসা-দ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করে; কেননা তার কোন একটি বিষয় তার কাছে খারাপ মনে হলেও অন্য একটি বিষয় তার পছন্দ হবেই। (অর্থ্যাৎ তার দোষ থাকলে গুণও থাকবে)। (মুসলিম)
২৭৬. হযরত ‘আমর ইবনে আহওয়াস আল-জুশাম্মী (রা) বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিদায় হজ্জের ভাষণ (খুতবা) শুনেছেন। সে ভাষণে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন। এবং লোকদেরকে ওয়াজ নসিহত করার পর বললেনঃ তোমরা মেয়েদের প্রতি সদাচরণ করো; কেননা তারা তোমাদের হেফাযতে রয়েছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে (বৈধ) সুযোগ-সুবিধা লাভ ছাড়া অন্য কিছুর অধিকারী নও। অবশ্য তারা যদি প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়, তবে তোমাদের বিছানা থেকে তাদের আলাদা করে দাও; এমনকি, প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার করো; কিন্তু কঠোরভাবে নয়। (এরপর) যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তবে তাদের জন্য ভিন্ন পথ অনুসরণ করো না। সাবধান! তোমাদের স্ত্রীদের ওপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, তোমাদের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। তাদের ওপর তোমাদের অধিকার হলো তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের অপছন্দীয় লোকদের দ্বারা তোমাদের বিছানা কলুষিত করবে না এবং তাদেরকে তোমাদের বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেবে না। তোমাদের ওপর তাদের অধিকার হলোঃ তোমরা তাদের পানাহারের ব্যাপারে ভাল ব্যবস্থা করবে, তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। (তিরমিযী)
২৭৭. হযরত মুআবিয়া ইবনে হাইদাহ (রা) বর্ণনা করেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো ওপর তার স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে?’ তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে, তাকেও আহার করাবে, তুমি যখন (পোশাক) পরিধান করবে, তাকেও পরিধান করাবে, কখনো তার চেহারা কিংবা মুখমণ্ডলে আঘাত করবে না, কখনও তাকে অশ্লীল ভাষায় গাল দেবে না এবং ঘরের ভেতর (অর্থ্যাৎ বিছানা) ছাড়া তার থেকে আলাদা হয়ো না। (আবু দাউদ)
২৭৮. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সবচাইতে উত্তম, ঈমানের দৃষ্টিতে সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। (তিরমিযী)

একটি শিক্ষনীয় গল্প | Nhrepon.com

মেয়েটির রুপ দেখে
অনেক পুরুষ
তাকে পাবার আশায়
রাতের ঘুম
হারাম করে দিয়েছে।
তার সুন্দরী দেহ দেখে
অনেক
পুরুষ কল্পনায় ঘর বাধা
শুরু
করে দিল। মেয়েটা যে
রূপবতী, এটা
নিয়ে
কারো দ্বিমত নেই।
দেশের
নামকরা ভার্সিটিতে
হিস্ট্রিতে
অনার্স
করছে সে। থার্ড
ইয়ার।
সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় অংশ
নিয়ে
রূপের চমক দেখিয়ে
সবাইকে
পেছনে ফেলে
প্রথম হয়ে গেল সে!
সেই সুবাধে মিডিয়ায়
ছড়িয়ে পড়লো তার
সুনাম!
কয়েকটা নাটক-
সিনেমায়
অভিনয়ও করে
ফেললো!
অবশ্য অভিনয়ে চান্স
পাওয়ার জন্য
তার সুন্দর
শরীরটাকে কয়েকটা
পশুর ভোগবস্তু
বানাতে হল। কিন্তু
তবুও সে হ্যাপি!
তার বিশ্বাস এই
শরীরটা কিছুদিনের
মধ্যেই তাকে বিখ্যাত
করে
তুলবে! কিন্তু, তার
কপাল খারাপ!
সেদিন
রাতে বাসায় ফেরার
পথে
আত্তায়ীর হাতে খুন
হলো সে!
বাবা- মা ও আত্নীয়
স্বজনদের
চোখের পানি ঝরিয়ে
মাটির
নিচে জায়গা হলো তার।
তিনদিন পর তদন্তের
স্বার্থে তার
লাশটা
কবর থেকে উঠানো
হল।
কিন্তু একি! তার
লাশটা উঠানোর পর
উপস্থিত কয়েকজন
বমি করে দিলো!
এমনকি তার
জন্মদাতা মা- বাবাও
লাশের দুর্গন্ধে নাকে
রুমাল
চাপা দিলো! যে
আবেদনময়ী
শরীরটা দেখার
জন্য
হাজার হাজার চোখ
পলকহীন
চেয়ে থাকতো, সেই
শরীরটার
একি অবস্থা!
অথচ এই শরীরটার
জন্যই
সে বিখ্যাত হওয়ার
স্বপ্ন দেখতো!
তাই বুঝি
তার বিখ্যাত
শরীরটা সবাইকে
দুর্গন্ধ বিলিয়ে
শেষ বিদায় জানালো!
.
প্রিয় আপু,
তোমার এই সুন্দরী
রুপবতী শরিরটা
আল্লাহর
দেয়া
নেয়ামত, তাই তোমাকে
তার
হুকুম মানতে হবে,
আল্লাহ ইচ্ছা করলে
তোমাকে
আমাকে ল্যাংরা, অন্ধ
, কানা,
বানিয়ে এই দুনিয়াতে
পাঠাইতে
পারতেন,
কিন্তু তিনি তা না
করে
আমাদের কত কিছুই
না দিয়েছেন
.
আসুন আমরা এই
নেয়ামতের ,
শুকরিয়া আদায় করি,
আলহামদুলিল্লাহ।

প্রকৃত ভালোবাসার সন্ধান পাওয়া | get real love | Nhrepon.com


টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন– জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে?
মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল- জ্বী স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে।
টিচার চট করে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন- আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো। এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন – মা আজকে তুমিই টিচার। এই নাও চক, ডাষ্টার।
যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো। মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখলো। টিচার বললেন,
এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা এদের পরিচয় লেখলো।
সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার এবার বললেন – লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও। মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো।
টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, আরো তিন জনের নাম মুছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে। খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে মেয়েটার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করছে। মেয়েটার হাত কাঁপছে।
সে ধীরে ধীরে তার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছলো। এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রিতিমত কাঁদছে।
যে মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো, সেই মজা আর নেই। ক্লাশের অন্যদের মাঝেও টানটান উত্তেজন। লিষ্টে আর বাকী আছে দুইজন। মেয়েটার হাজবেন্ড আর সন্তান। টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছো। কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারো নাম মুছতে সে আর পারছেনা। টিচার বললেন – মা গো, এইটা একটা খেলা। সাইকোলজিক্যাল খেলা। জাষ্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছে দিতে বলেছি, মেরে ফেলতে তো বলিনি!!!
মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে ছেলের নামটা মুছে দিলো। টিচার এবার মেয়েটার কাছে গেলেন, পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন– তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত।
আর এই গিফ্ট বক্সে দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য।
এবার বলো, কেন তুমি অন্য নামগুলো মুছলে। মেয়েটা বলল- প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম।
কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট ফ্রেন্ড আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন আরো তিন জনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড আর বাবা মায়ের নাম মুছে দিলাম। ভাবলাম, বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না। আর বেষ্ট ফ্রেন্ড না থাকলে কি হয়েছে?
আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।
পরে ভেবে দেখলাম, ছেলেতো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু ছেলের বাবাতো কোন দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।

"উপদেশ" বাংলা কবিতা | Bangla kobita | Nhrepon.com

উপদেশ

স্বর্ণকুমারী দেবী


বড়লোক যদি তুমি হতে চাও ভাই,

ভালো ছেলে তাহা হ'লে আগে হওয়া চাই।

মন দিয়ে, পড় লেখো

সুজন হইতে শেখ,

খেলার সময় রেখ, তাতে ক্ষতি নাই।


পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি,

যতনে মানিয়া চল তাঁহাদের বাণী।


ভাইটি করেছে দ্বন্দ্ব,

বোনটি বলেছে মন্দ,

ক্রোধে হয়ো না কো অন্ধ, স্নেহে ধর পাণি।











সংকল্প | Songkolpo bangla kobita | Nhrepon.com

সংকল্প

কাজী নজরুল ইসলাম


থাকব না'ক বদ্ধ ঘরে

দেখব এবার জগৎটাকে।

কেমন করে ঘুরছে মানুষ

যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।


দেশ হতে দেশ দেশান্তরে

ছুটছে তারা কেমন করে,

কিসের নেশায় কেমন করে

মরছে যে বীর লাখে লাখে।


কিসের আশায় করছে তারা

বরণ মরণ যন্ত্রণাকে

কেমন করে বীর ডুবুরি

সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে,

কেমন করে দুঃসাহসী

চলছে উড়ে স্বর্গপানে।


হাউই চড়ে চায় যেতে কে

চন্দ্রলোকের অচিনপুরে,

শুনব আমি, ইঙ্গিতে কোন

মঙ্গল হতে আসছে উড়ে।


পাতাল ফেড়ে নামব আমি

উঠব আমি আকাশ ফুঁড়ে,

বিশ্বজগৎ দেখব আমি

আপন হাতের মুঠোয় পুরে।
















শিশুর পণ | গোলাম মোস্তফা | Shishur pon | Nhrepon.com

শিশুর পণ

গোলাম মোস্তফা  

এই করিনু পণ
মোরা এই করিনু পণ
ফুলের মতো গড়ব মোরা
মোদের এই জীবন।
হাসব মোরা সহজ সুখে
গন্ধ রবে লুকিয়ে বুকে
মোদের কাছে এলে সবার
জুড়িয়ে যাবে মন।

নদী যেমন দুই কূলে তার 
বিলিয়ে চলে জল, 
ফুটিয়ে তোলে সবার তরে 
শস্য, ফুল ও ফল। 
তেমনি করে মোরাও সবে
পরের ভাল করব ভবে
মোদের সেবায় উঠবে হেসে
এই ধরণীতল।
সূর্য যেমন নিখিল ধরায় 
করে কিরণ দান, 
আঁধার দূরে যায় পালিয়ে
জাগে পাখির গান।
তেমনি মোদের জ্ঞানের আলো
দূর করিবে সকল কালো
উঠবে জেগে ঘুমিয়ে আছে
যে সব নীরব প্রাণ।

​প্রিয় স্বপ্ন | favorite dream | bangla kobita | Nhrepon.com


​প্রিয় স্বপ্ন

(শুধুই তুমি)


তোমার ঐ দুষ্টমী মাখা মুক্ত ঝরা মিষ্টি হাসিটা আমার পৃথিবী রাঙিয়ে দেয়,
তোমার ঐ হরিণী সাদৃশ চোখের গহীনে জানিনা মন হারায় কোন অজানায়।

তোমার শূভ্রের ন্যায় বদনখানি ভেবে আামার কেটে যায় বেলা,
ওগো প্রেয়সী মোর অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে তুমি করোনা খেলা।

কতো ভালোবাসি তোমায় শুধু এই হৃদয় জানে,
ওগো ললনা এসোনা একবার বুকেরি মাঝখানে।

একটি বাসর রাত | Bashor rat | Nhrepon.com

আজ রিপন ও শারমিনের এর বাসর রাত। পারিবারিক ভাবেই
তাদের বিয়ে হয়েছে। শারমিন  শিক্ষিত মেয়ে এবং

রিপন পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের
পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করে।
রাত ১২:৩০ মিনিট। রিপন বাসর ঘরে আসলো
সবাই কে বিদায় জানিয়ে। শারমিন খাট থেকে নেমে
রিপন এর পা ছুয়ে সালাম করলো। রিপন 
শারমিন কে উঠিয়ে খাটের উপর বসাল। রিপন শারমিন 
কে বলল "আজ আমাদের বাসর রাত। সবার মতই
আমাদের জীবনেও বহু প্রতিক্ষিত রাত এই রাত।
আজ এই শুভক্ষনে আমি তোমাকে কিছু কথা
বলতে চাই আশা করি মনযোগী হয়ে শুনবে।
কালকেও তুমি শুধু একটা মেয়ে ছিলে। আজকে
তুমি কারো স্ত্রী, কারো সংসারের বউ। কারো
ভাবি, কারো জা, কারো চাঁচি, কারো মামী। আজ
থেকে তোমার অনেক দায়িত্য বেড়ে
গেছে। যেহেতু আমরা পরিবারের কথামত বিয়ে
করেছি তাই হয়তো একে অপরকে জানার সময়
কম পেয়েছি। তবুও কিছু কথা জানা প্রয়োজন।
আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি তোমার
স্বামী। যেহেতু আমাকে তোমার বর
হিসেবে মেনে নিয়েছ, তাই মনে করছি
আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেছ। আর
আমাকে যদি তোমার যোগ্য করে কেউ গড়ে
তোলে তারা হল আমার আব্বু আম্মু। আশা করি তুমি
তাদের কে সম্মান দিয়ে চলবে। তাদের কে
নিজের আব্বু আম্মু মনে করবে।
তারা আমাকে তোমার যোগ্য করেছে তার
মানে তারা আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য
তাই তারা বয়সের কারনে হয়তো রাগারাগি করতে
পারে। তখন তুমি তাদের সামনে মাথা নত রেখে
নরম স্বরে কথা বলবা। কারন "কখনো কখনো
তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত
করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে
তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি
পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য
ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।"
যদি তুমি তাদের রাগের সময় ভাল ব্যবহার কর তাহলে
তারা আর কখনই তোমার সাথে রাগবে না। যদি তুমি
আব্বু আম্মুকে মন থেকে ভালবাসো তাহলে
তারা তোমাকে অনেক আশির্বাদ করবে যা
অমুল্য।
তোমাকে রান্না করতে হবে। আম্মু যখন রান্না
করবে তখন তুমি আম্মু কে গিয়ে বল যে আম্মু
আমি রান্না পারি না আমাকে শিখাবেন?? আম্মু খুশি
হবে। তোমাকে রান্না করতে হবে না তখন তবু
খুশি থাকবে। বিকেলবেলা একটু চা বানিয়ে
তাদেরকে দিয়ে আসলে তারা অনেক খুশি হবে
তোমার উপর।
শুনেছি সব ভাবিরা নাকি ননদ ও জা দেরকে
দেখতে পারে না। তুমি এই ধারনা পাল্টে দিবা।
আমার বোনরা ৬মাস পর হয়তো আসবে থাকবে
৬দিন। এই ৬দিন তাদেরকে নিজের বোন মনে
করে আদর কর যেন পরের বার তোমার টানেই
আসে আবার।
তুমি হয়তো জানো না যে একবার আমি অসুস্থ
হইছিলাম এবং আমার আব্বু আম্মু ছিল না। আমার
২বোন সারারাত আমার মাথার পাশে না ঘুমিয়ে সেবা
করেছিল এখন ভাবো তুমি তাদের কে কেমন
ভালবাসবে?
আমার বড় ভাই আছে যে আমার চাওয়ার আগেই
আমার অভাব পুরন করছে আশা করি তুমি তাকে
নিজের ভাইয়ের মত দেখবে। যদি ভাইয়ার কাছে
কিছু আবদার কর তাহলে তিনি তোমার উপর খুশি
হবেন। আর ভাবি তো তোমাকে বোন
বানিয়েই ফেলেছেন।
আমাদের বাড়িতে অনেক বাচ্চাকাচ্চা আছে।
তাদের কে আদর করবে সারাদিন তাদের সাথে
সময় কাটাবে একঘেয়েমি দুর হবে।
অতঃপর ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায় হিংসা দিয়ে নয়।
ভালবাসা দানে বাড়ে কমে না। যতযত ভালবাসা দিবে
সবাই তেমন ভালবাসা তোমাকে দিবে। সবাইকে
ভালবাসবে। আর তুমি যদি এতকিছু কর তাহলে আমি
নিশ্চয় তোমাকে খারাপ রাখতে চাইব না? আর একটা
মেয়ের কাছে স্বামীর সুখের চেয়ে বড় কিছু
নেই।
এমন কিছু করবে যেন এই ঘরটাকে স্বর্গ মনে
হয়। প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বা। তুমি অনেক
রুপসী কিন্তু সেটা সবার জন্য নয়। তাই বাইরে
সংযত হয়ে চলাফেরা করবে।
তোমার কিছু বলার থাকলে বল। শারমিন মাথা উঠেই
নিলয় এর দিকে তাকালে রিপন দেখে শারমিন 
কাঁদছে। রিপন বলল কাঁদছ কেন? শারমিন বলল
জীবনে কাউকে বলিনি আজ বলছি "আমি
তোমাকে ভালবাসি" আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ
উপহার তোমার মত কাউকে জীবনে সঙ্গি করে
পাওয়া।
রিপন বলল আমিও ভালবাসি তোমাকে। কথা
বলতে বলতে আযান দিয়ে দিল মসজিদে।
রিপন বলল, যাও তুমি নামাজ পরে ঘুমাতে যাও
আর আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে আসতেছি।
পরের দিন থেকে শুরু হল এক শান্তির সংসার।
আমার আব্বু আম্মু যেন বউ পায়নি পেয়েছে
একটা মেয়ে। আমাকে বাদ দিয়ে সারাদিন বউকে
নিয়েই ব্যস্ত থাকে বাড়ির সবাই। আমিও কিছু বলিনা।
দিন গেলে রাতটাতো আমার।
গল্পটি আপনাদের ভালো লাগলে শেয়ার করুন।


.........সংগৃহীত..........

মৃত্যুর আগে জীবন সম্পর্কে কিছু অসাধারণ কথা বলেছিলেন- স্টিব জবস

মৃত্যুর আগে স্টিব জবস যখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তখন এ্যাপলের ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক । টেকনোলজির এই রাজপূত্র মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একেবারে অন্তিম মুহুর্তে জীবন সম্পর্কে কিছু অসাধারণ কথা বলেছিলেন- যা জাপানি, চায়নীজ, হিন্দি, উর্দু, আরবী, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, রুশ সহ প্রায় আঠারোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে । শুধু তাই নয়- শিশুদের মানসিক উৎকর্ষতা বিধান এবং তাদের সুন্দর মনন গঠনের লক্ষে একাধিক ভাষায় স্টিভ জবসের এই অমর কথাগুলো সহ তাঁর জীবনী বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
কথাগুলির সংক্ষিপ্তসার নিম্নরূপঃ
বাণিজ্যিক দুনিয়ায় আমি সাফল্যের একেবারে সর্বোচ্চ চুঁড়োয় আরোহণ করেছি যা আপনাদের কাছে সাফল্যের এক অনুপম দৃষ্টান্ত। কিন্তু, এ কথা ধ্রুব সত্য কাজের বাইরে আমার সামান্যই আনন্দ ছিলো। সম্পদের প্রলোভনে বিভোর ছিলাম সারা জীবন। আজ মৃত্যুশয্যায় শুয়ে যখন জীবনটাকে দেখি, তখন আমার মনে হয়, আমার সব সম্মান, খ্যাতি আর অর্জিত সম্পদ আসন্ন মৃত্যুর সামনে একেবারেই ম্লান, তুচ্ছ আর অর্থহীন। এ্যাপলের বিশাল সাম্রাজ্য আমার নিয়ন্ত্রনে ছিলো-কিন্তু মৃত্যু আজ আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি কবরের বিছানায় শুয়ে আছে সেটা আদৌ কোনো বড় ব্যাপার না। প্রতি রাতে নিজের বিছানায় শোয়ার আগে আমি কি করলাম - সেটি ভাবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । অন্ধকার রাতে জীবনরক্ষাকারী মেশিনের সবুজ বাতিগুলোর দিকে চেয়ে আমার বুকের গহীনে হাহাকার করে ওঠে। মেশিনের শব্দের ভিতরে আমি নিকটবর্তী মৃত্যু দেবতার নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারি। অনুধাবন করতে পারি-শুধু সম্পদ না, সম্পদের সাথে সম্পর্কহীন জিনিসও মানুষের অন্বেষণ করা উচিত।
বেকুবের মতো সম্পদ আহরণই সবকিছুই নয়- আরো অনেক কিছু মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আর তা হলো- মানুষের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা, সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করা আর তারুণ্যে একটি সুন্দর স্বপ্ন নিজের হৃদয়ে লালন করা। শুধু সম্পদের পেছনে ছুটলেই মানুষ আমার মতো এক ভ্রান্ত মানুষে পরিণত হতে পারে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার হৃদয়ে ভালবাসা অনুভব করার জ্ঞান দিয়েছেন। কেবলমাত্র এই নশ্বর দুনিয়ায় সম্পদের মোহে জড়িয়ে পড়ার জন্য নয়। এই যে মৃত্যু শয্যায় শুয়ে আছি। কই, সব সম্পদতো এই বিছানায় নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু আজ সাথে আছে ভালোবাসা, প্রেম, মায়া, মমতার কিছু স্মৃতি । এগুলোই শুধু সাথে থেকে সাহস যোগাবে, আলোর পথ দেখাবে । ভালোবাসা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে- সম্পদ না খুঁজে ভালোবাসাও অৰ্জন করতে হয়। সম্পদ সৰ্বক্ষেত্রেই শান্তি নিশ্চত করেনা । মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ আর ভালোবাসাই শান্তি আনে। পৃথিবীটাকে দেখ ৷ শুধু সম্পদের পেছনে ছুটে হাহাকার করলে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে না ৷
পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বিছানা কি জানেন? তাহলো- হাসপাতালের মৃত্যু শয্যা ৷ আপনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি একজন গাড়ি চালক রাখতে পারেন। আপনার নিযুক্ত কর্মচারীরা আপনার জন্য অনেক টাকা আয় করে দিবে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় সত্য গোটা পৃথিবী চষে, পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়ে দিলেও একজন মানুষও পাবেন না যে আপনার রোগ বয়ে বেড়াবে।
বৈষয়িক যে কোনো জিনিস হারালে আপনি পাবেন। কিন্তু একটা জিনিসই হারালে আর পাওয়া যায় না তা হলো মানুষের জীবন। মানুষ যখন অপারেশান থিয়েটারে যায় তখন সে কেবলি অনুধাবন করে- কেন জীবনের মূল্যটা আগে বুঝিনি!! জীবনের যে স্টেজেই আপনি আজ থাকুন না কেন, মৃত্যুর পরোয়ানা আপনার জীবনের সামনে হাজির হবেই। সাঙ্গ হবে জীবন। তাই, এই নশ্বর জীবনের পরিসমাপ্তির আগে পরিবারের জন্য, আপনজনের জন্য, বন্ধুদের জন্য হৃদয়ে সবসময় ভালোবাসা রাখুন। নিজের জীবনটাকে ভালোবাসুন ৷ ঠিক নিজের মতো করে অন্যকেও ভালোবাসুন।


 .........সংগৃহীত..........

বাসর ঘরের গল্প | বাসর ঘর | basor ghor | nhrepon.com

বাংলা বাসর ঘরের (bangla basor gor) রোমান্টিক গল্প:

বাসর ঘর
Nhrepon

বাসর ঘরে (bashor ghor) ঢুকে পাশে বসতেই
বৌ আমাকে বলল....
----ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখুন তো কয়টা বাজে??
বাসর রাতে বৌয়ের এমন সাহসী প্রশ্নে কিছুটা বিচলিত

হলাম।তখন ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখি রাত ১২.৩০মিঃ।

আমিবৌয়ের পাশে বসে আস্তে করে বললাম.....

----শোনো আমার এখন বিয়ে করার কোন ইচ্ছেই ছিলো
না।আমার বাবা-মায়ের পছন্দেই তোমাকে বিয়ে করেছি।
তবে আমার কারো সাথে কোন সম্পর্ক ও নেই।কিন্তু আমি
বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না।তাই আমি
এখন চাইলেও এত সহজে তোমাকে বউ হিসেবে মানতে বা
বৌয়ের অধিকার দিতে পারবোনা।
কথা গুলো বলে শেষ করা মাত্র ই
নতুন বউ আমার পাঞ্জাবির কলারটা চেপে ধরে বলল.....
----আমাকে কি খেলার পুতুল মনে হয় নাকি??পছন্দ হয়নি,
বিয়ে করতে চাননি এইটা আগে বলতে পারলেন না??
নিজের মায়ের মন রক্ষা করতে আমার সব আশা-স্বপ্ন কে
কেন বলিদান দিতে হবে?
বিয়ে করার ইচ্ছে নেই,এইটা আমাকে আগে বললেই
পারতেন।তবেই আমি আমার পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে
দিতাম।মায়ের প্রতি ভন্ড ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে
আমার জীবনটা কেন এইভাবে নষ্ট করে দিলেন হুম?
আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি।এখন আমি
যেভাবে বলব সেভাবেই সব হবে। ঠিক আছে????
বলেই কলার টা ছেড়ে দিলো।পরে আবার বলল....
----আচ্ছা যা হবার তা তো হয়েই গেছে।
দিতে হবে না আপনাকে বউয়ের অধিকার।
যান নিচে গিয়ে ঘুমান।একদম খাটে ঘুমাতে পারবেন না।
বলেই আমার বালিশ পা ফ্লোরে ছুড়ে মারলো।আমি ও
বাধ্য ছেলের মতো ফ্লোরেই শুয়ে পড়লাম।আর মনে মনে
ভাবতে লাগলাম,কেমন গুন্ডি মেয়ে রে বাবা।জীবনেও
এমন মেয়ে দেখিনী।
মনে তো হচ্ছে জীবন পুরাই তেজপাতা করে ছাড়বে।
.
ফ্লোরে ঘুমই আসছেনা।কখনই ফ্লোরে ঘুমাই নি।কিন্তু
আজকে নিজের অমতে বিয়ে করার কারনেই ফ্লোরে
ঘুমাতে হচ্ছে।
এর মধ্যে মশার আন্দোলন। ইসসসসসস,,,,,,সহ্য হচ্ছেনা।চোখ
বন্ধ শুয়ে করে আছি।কখন জানি ঘুমটা লেগে গেছে
বুঝতেই পারিনি।হঠাৎই সজাগ হয়ে দেখি আমার শরীরে
কম্বল আর পাশে ও মশার কয়েল লাগানো।মনটাতে একটু
স্বস্তি পেলাম,চোর হলেও মানুষ ভালো।
মনে মায়া-দয়া আছে।
.
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি টেবিলে চা রাখা।চা
খেয়ে,ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে ফোন টিপছিলাম তখন ই
তানিয়া (আমার বৌ)এসে বললো.....
----এইযে সেই কতক্ষন যাবত খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে 
আর আপনি ঘরে বসে আছেন কেন?এখনি নিচে চলুন আগে......??বলেই আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে
বললো...
-----নাকি খাবার টা রুমে নিয়ে আসবো?
আমি তো হার্ট এ্যাটাক হতে হতে বেচেঁ গেছি।আমি তো
ভাবছিলাম,বউ বুঝি এইবার ও কলার ধরেই আমাকে খাবার
টেবিলে নিবে।কিন্তু না,বউয়ের স্বর পাল্টে গেছে,তবে
কি বউ আমার প্রেমে পড়ে গেল নাকি??কথাটা ভাবতে
ভাবতেই বউয়ের দিকে তাকালাম।হা হয়ে তাকিঁয়ে
আছি,বউ তো আমার হেব্বি সুন্দরী।রাতে তো ভাবছিলাম
হিটলারনি।এখন দেখি না মায়াময়ী।এইবার যে আমি
বউয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম।নিজেই নিজেকে বললাম...
----পিন্টু মনে হয় তুই তোর হিটলারনি বউয়ের প্রেমে পড়ে
গেছিস।
.
হঠাৎ একটা বিকট শব্দে বাস্তবে ফিরলাম।
সামনে তাকিঁয়ে বউ আমার ফ্লোরে পরে চোখ বন্ধ করে
আছে।বুঝতে পারলাম,পাগলীটা খুবই ব্যথা পাইছে।
দৌড়ে গিয়ে টেনে তুলে বসাতে গেলাম আর অমনি
আস্তে করে বলল.....
----কেমন স্বামী গো আপনি??
আমি তো একটু ভ্যাবাচ্যকা খেয়ে গেলাম।
বললাম...
----আমি আবার কি করলাম।
বৌ বলল....
----আমি মাটিতে পরে আছি কই কোলে করে নিয়ে
বিছানায় শোয়াবেন,তা না করে আমার হাত ধরে
টানছেন।
সাথে সাথেই আমি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে
দিলাম।
আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল....
----ইচ্ছে করে এইভাবে ই ধরে রাখি সারাটা জীবন।কিন্তু
আপনি তো আমাকে পছন্দই করেন না।
কথা শেষ করেই তানিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
আমারও বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেল।আমারো খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল *
কপালে একটা চুমো একেঁ দিয়ে বলি ...
----পাগলী আমি যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি
গো।
কিন্তু পারলাম না।কোথায় জানি একটা বাধাঁ
পাচ্ছিলাম।এই সুযোগে তানিয়া আমাকে ঠেলে
বিছানায় ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালো।আমি শুধু ওর
চলে যাওয়ার পানে তাকিঁয়ে রইলাম।পরক্ষনেই খেয়াল
হলো,ও তো ব্যথা পাইছে।যার কারনে কোলে করে
উঠাতে হলো।বুঝতে আর বাকি রইলো না,এইবার ও
আমাকে বোকা বানানো হয়েছে।
.
পাগলিটার সাথে খুনসুটি প্রেম করতে করতেই কেটে গেল
২টা বছর।এখন কেউ কাউকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনা।
আমার পাগলীটা এখন গর্ভবতী।
তাই খুব যত্ন নেই তার।আজকেই বাচ্চা হবার তারিখ
দিয়েছে ডাক্তার।
আমি অফিসে ছিলাম,হঠাৎই বাবার ফোন পেয়ে ছুটে
গেলাম হসপিটাল।গিয়েই শুনলাম আমার ঘর আলো করে
এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা।
কিন্তু....
আমার পাগলিটার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা কেন??ভয়ে
আৎকে উঠলাম।অনেকের মুখেই শুনেছি,বাচ্চা জন্ম দিতে
গিয়ে মারা গেছে অনেক মা।সে ভয়েই বাচ্চা নিতে
চাইনি।কিন্তু ওর নাকি বাচ্চা লাগবেই।
ওর ইচ্ছে পূরন করতে গিয়েই কি তবে......???
আর ভাবতেই পারছিনা।
আর একটা মিনিট ও নষ্ট না করে,দৌড়ে গেলাম কেবিনে।
গিয়ে দেখি বাচ্চা টা হাত পা নাড়িয়ে খেলছে।
কিন্তু তানিয়া চোখ বন্ধ করে রাখছে।
ওর নিঃশ্বাস আছে কি নাই তা দেখার মতো ধৈর্য আমার
ছিলোনা।তাই তানিয়াকে জড়িয়ে চিৎকার দিয়ে
ফেললাম।
সাথে সাথেই কানের কাছে একটু ব্যথা অনুভব করলাম।
পরে দেখি তানিয়া আমার আস্তে করে কানে কামড়
দিয়ে বলল....
-----কি ভাবছিলা তোমাকে একা রেখে চলে যাবো??
আরে না গো,আমি চলে গেলে,তোমাকে জ্বালাবে
কে??
আমিও বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম।আর
বললাম,বড্ড ভালোবাসি রে পাগলি তোকে।ছাড়বোনা
কখনই।


 .........সংগৃহীত..........

পুরুষ সম্পর্কে কিছু কথা


আমি একটা মেয়ে হয়ে ছেলেদের

সাইড নিয়ে কথা বলছি,

তাতে অনেক মেয়ে
ভাবতেপারে, আলগা পিরিত।
কিন্তু অতি বাস্তব
একটি ছেলে আমার ভাই,
একজন পুরুষ আমার বাবা, আর একজন
পুরুষ যে হবে আমার ভবিষ্যৎ।
তাই কথা গুলা সব মেয়ের পড়া উচিত।
রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছি।
পিছন থেকে একটা ছেলে কিছু বললে
অথবা শিস বাজালেই এটি ইভটিজিং
এবং ওরা মানুষ রূপী অমানুষ!
ওদের কি ঘরে মা বোন নেই?
এই কথা কেন আসলো?
কারণ আমি মেয়ে।
মেয়ে হচ্ছে মা জাতি।
তাদের সম্মান দিতে হয়।
আচ্ছা যখন মাথায় তেল দিয়ে নম্র ভদ্র
শান্ত ছেলেটি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশ
দিয়ে হেঁটে যায় চুপচাপ,
তখন হুঁ হুঁ করে হেসে উঠা মায়ের
জাতিরা কেমন করে
বিব্রত করে?
আমাদের কি ঘরে বাপ ভাই নেই?
ছেলেটি কি বাপের জাত না?
বাপকে কি সম্মান করা যায় না?
আচ্ছা প্রেম করছি দু'জনেই।
প্রেমিক সাহেবও তো বেকার,
ছাত্র মানুষ।
তাহলে কেন আমি তাকে মিসকল দিব?
ও যদি একটা সিগারেট কম খেয়ে
১০টাকা লোড করতে পারে,
আমি কেন ওর জন্য একটি হেয়ার
ব্যান্ড না কিনে কল করার পয়সা
জমাতে পারি না?
বন্ধুরা মিলে রেস্তোরাঁ আড্ডা দিচ্ছি।
আড্ডার ফাঁকে মুখরোচক খাবার ও
খেলাম কয়েক পদের।
আচ্ছা ছেলে বন্ধুটিই কেন মানিব্যাগ
বের করে বিল দিবে?
আমার পার্সে থেকে কেন টাকাটা
বের হয় না?
ও তো আমাকে টেডিবিয়ার, চকোলেট
কত্তকিছু উপহার দেয়।
কই আমি তো একটি গোলাপ ও কেনার
কথা মনে করিনা।
গাড়িভাড়া গুলোও ঐ ছেলেটিই দিচ্ছে,
বাসের সিট ছেড়ে দিচ্ছে,
লাইনে দাঁড়ালে আগে যেতে দিচ্ছে
(লেডিস ফার্স্ট)
বিপদে পরলে দৌড়ে আসছে,
আনন্দে হাসছে,
বেদনায় সান্ত্বনা দিচ্ছে,
আশা দিচ্ছে,
ভরসা দিচ্ছে,
রাগ করে গালিও দিচ্ছে,
আবার অতি কষ্টের ভাগীদার হয়ে
গোপনে কাঁদছে।
কখনো ভেবেছি সম্মানিত মা জাতি হিসেবে,
কেমন লাগে ঐ তেল মাথায়
কেবলাকান্ত ছেলেটির
যখন বুঝতে পারে একদল মেয়ের ব্যঙ্গ
করছে তাকে নিয়েই?
প্রেমিক ছেলেটি কয়েক মিনিট কথা
বলতে প্রতিদিন রিচার্জ করছে।
কত ধান্ধা করে টাকা যোগাড় করছে।
কিন্তু ভেবেছি কি কখনো?
আমারও কল করা উচিত,
ও কেন ফোনটা কেটে দিয়ে কল ব্যাক
করে সবসময়?
কখনো অনুভব করেছি কি?
কেমন লাগে ঐ মুহূর্তে একটি ছেলের
যখন তার পকেট পুরো ফাঁকা।
অথবা শেষ ১০০টাকা বিল দিলে
আগামী সাতদিন তাকে হেঁটে টিউশন
করতে যেতে হবে?
তবুও বিল টা সেই দেয়।
কারণ সে বাপের জাত।
কই কখনো ভাবি নি তো,
একটি গোলাপ তার হাতে দিলে
আবেগে সে কতটা
আত্মহারা হতে পারে।
তার বিপদে কখনো হাতটা চেপে ধরে
দেখছি কী,
একটু হলেও তো আস্থা পেত ছেলেটি।
হতাশ ছেলেটিকে সাহস দিয়ে বলেছি কি,
"আর বিড়ি খেওনা, ভাল দিন আসবেই।"
তারা তো কাঁদতে জানে না।
বালিশ না ভিজলেও
নিকোটিনের ধোঁয়া জানে কতটা
নির্ঘুম রাত কাটায় তারা।
তারাভাই,
তারা বাবা,
তারা প্রিয়তম,
তারা বন্ধু,
তারা হারামী।
তাদের কত্ত দায়িত্ব!
আমরা শুধু নিয়েই যাচ্ছি।
কেন বিনিময়ে দিতে পারছি না?
মায়ের জাতি হয়ে তিন গুণ বেশি
পাওনা আমার।
কিন্তু বাপের জাতিকে এক ভাগ ও
দেই না কেন?
ভাবি নি...
ভাবার সময় হবেও না হয়তো।


 .........সংগৃহীত..........