জাপানের আইনসভা | The legislature of Japan | Nhrepon.com


জাপানের আইনসভা

(The legislature of Japan)


জাপানি আইনসভার নাম ‘ডায়েট’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে প্রনীত নতুন সংবিধান অনুযায়ী ডায়েটের ক্ষমতা ও পরিধি অনেক বৃদ্ধি পায়। ডায়েট দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত। নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ এবং উচ্চ কক্ষ ‘হাউস অব কাউন্সিলরস’
 ‘হাউস অব কাউন্সিলরস’ এর সদস্য সংখ্যা ২৪২। এ সভা ৬ বছরের জন্য নির্ধারিত হয়। অর্ধেক সদস্য প্রতি ৩ বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ এর মোট সদস্য ৪৮০। ৪৮০ জন সদস্য মোট ১১৮ টি ‘নির্বাচনি জেলা’ হতে নির্বাচিত হন। প্রত্যেক জেলায় ৩ থেকে ৫ জন সদস্য থাকেন। সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটে নিবার্চিত হন। প্রত্যেক ভোটার একটি করে ভোট দেন। যে সব সদস্য সর্বোচ্চ ভোট পান তারা জেলা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ এ আসেন। ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। তবে সরকার যে কোন সময় এ হাউস বিলুপ্ত করতে পারে। বিলুপ্ত হলে ৪০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন দিতে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপানি রাজনীতিতে ‘ডায়েটের’ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে। বর্তমানে জাপানি রাজনীতির মূলধারা ডায়েটকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হচ্ছে।

এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার কি? | Ambassador and High Commissioner | nhrepon.com

এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার 

(Ambassador and High Commissioner)  


এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার (Ambassador and High Commissioner)  এর মাঝে মর্যাদাগত তেমন পার্থক্য নেই। 
দুটিই এক রাষ্ট্র কতৃক অপর রাষ্ট্রে প্রেরিত সবোচ্চ শ্রেণীর কূটনীতিক দূতকে বলা হয়।

তবে হাইকমিশনার বলতে কমনওয়েলথভূক্ত রাষ্ট্র সমূহের সবোচ্চ শ্রেনীর কূটনীতিকদের বুঝানো হয়।
 কমনওয়েলথ হলো ব্রিটেনসহ এক সময় ব্রিটেনের অধীনে ছিল এমন রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন।

রাষ্ট্রদূতকে তখনি হাইকমিশনার বলা যাবে যখন দুটি দেশই কমনওয়েলথভূক্ত হবে। 
যেমন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ভারতে নিয়োগ পেলে তাকে হাইকমিশনার বলা হবে। 
একইভাবে ভারতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োজিত হলে তাকেও হাইকমিশনার বলা হবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কে এ্যামব্যাসেডর ও বাংলাদেশে যু্ক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এ্যামব্যাসেডর বলা হবে। 
কারণ বাংলাদেশ কমনওয়েলথভূক্ত দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথ ভূক্ত দেশ নয়।

তাই কমনওয়েলথ বহিভূর্ত দেশসমূহের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ কিংবা বহির্ভূত কোন দেশের ক্ষেত্রে কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের বলা হয় এ্যামব্যাসেডর।

কিয়োটো চুক্তি কি? (Kioto) এ চুক্তিটি কি উদ্দেশ্যে, কোথায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল? | Nhrepon.com

কিয়োটো চুক্তি

Nhrepon.com
Nhrepon.com
বিশ্বের পরিবেশ রক্ষা করার জন্য বিশ্ব উষ্ণতা রোধে জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়োটোতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কিয়োটো চুক্তি বা প্রটোকল স্বাক্ষর করা হয়। 
এটি কার্বন নির্গমন কমানোর একমাত্র আইনগত চুক্তি। চু্ক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯১৭ সালে।
 চুক্তিটি কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বার ২০০৫ সালে। 
এর মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালে। 
৬ টি গ্রীন হাউস গ্যাস Carbon-di-oxide, Methane, Nitrous oxide, Sulphur hexafluoride, Hidrofluorocarbons and perflurocarbons কমানোর লক্ষ্যে এই কিয়োটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 
চুক্তিতে বলা হয় যে, শিল্পোন্নত দেশসমূহ তাদের গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন ২০০৮-২০১২ সাল নাগাদ ১৯৯০ সালের পর্যায়ে নিয়ে আসবে তথা গড়ে ৫ শতাংশ হারে হ্রাস করবে। 
এতে আরো বলা হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক দেশকে নিজ দেশে উৎপন্ন গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমান অনুযায়ী হ্রাস করতে হবে। 
চুক্তিতে ৮ শতাংশ হারে সুইজারল্যাণ্ড, মধ্য ও পূর্ব-ইউরোপ , ইউরোপীয় ইউনিয়ন; ৭ শতাংশ হারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ৬ শতাংশ হারে কানাডা, হাঙ্গেরি, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইউক্রেন কে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা হ্রাস করতে বলা হয় ২০১২ সালের মধ্যে। 
কিন্তু উল্লিখিত সময়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়ায় চুক্তিটি ২য় মেয়াদে ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হয়। এখন পর্যন্ত ২৭ ‍টি দেশ এর পক্ষে অনুসমর্থন দিয়েছে।